ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
মেধাস্বত্ব সংরক্ষণে সেল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ ইউজিসির বিপুল আমদানিতেও ভোজ্যতেলের বাজার অস্থিতিশীল চিন্ময় দাসের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল মুক্তিযোদ্ধা তথ্যভাণ্ডার তৈরিতে অনিয়ম এ সরকারও কুমিল্লা থেকে খুনের ইতিহাস শুরু করেছে-শামসুজ্জামান দুদু যুব সমাজ দেশে জীবন ও জীবিকার নিশ্চয়তা পাচ্ছে না-জিএম কাদের ট্রাম্পের শুল্কনীতির অস্থিরতায় বিশ্ব অর্থনীতির ঝুঁকি বাড়ছে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন বাড়ছে পাচার অর্থ ফেরাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা ২৩৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্রয় কমিটিতে ১২ প্রস্তাব অনুমোদন প্রশাসন ক্যাডারের তরুণদের হতাশা-ক্ষোভ গুচ্ছে থাকছে ২০ বিশ্ববিদ্যালয় ৯ বছরেও ফেরেনি রিজার্ভ চুরির অর্থ কারাগার থেকে ফেসবুক চালানো সম্ভব নয় ৮ ফেব্রুয়ারি ছয় সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ-আসিফ নজরুল এক সপ্তাহ পর ক্লাসে ফিরলেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা কোটায় উত্তাল জাবি সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনব্যবস্থা সমর্থন করছি না-মান্না চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের ৪৬ নেতাকর্মী গ্রেফতার বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত আজ
কাজ শুরু করতে পারছে না সওজ

সড়ক মহাসড়কের বেহাল দশা

  • আপলোড সময় : ১৬-১১-২০২৪ ০২:৫১:২২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৬-১১-২০২৪ ০২:৫১:২২ অপরাহ্ন
সড়ক মহাসড়কের বেহাল দশা
* ঠিকাদার ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সিন্ডিকেট
* স্থবির সড়ক ও জনপথের ১০টি জোন
* বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ২৩১টি প্রধান সড়কের ১২৪০ কিলোমিটার রাস্তা
 

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ প্রায় ২৩১টি প্রধান সড়কের ১২৪০ কিলোমিটার রাস্তা এবং প্রায় সাড়ে তিনশ’ ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব সড়ক ও মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের কারণে পরিবহন যাতায়তে বিরম্বনা সৃষ্ঠি হচ্ছে। এ অবস্থায় ২ মাস পেরিয়ে গেলেও ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক সংস্কার ও মেরামতে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছেনা। এনিয়ে  অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সড়কের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টাসহ সরকারের ভাবমূর্তী চরমভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে ঠিকাদারদের একটি অংশ অভিযোগ করেছেন। তারা অভিযোগ করে বলেছেন সড়ক সংস্কারে  সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অসৎ কর্মকর্তা ও তাদের পছন্দের ঠিকাদারদের সিন্ডিকেটের কারণে এই পরিকল্পিত বিরম্বনা চলছে।
সড়ক ও মহাসড়কের বাস্তব অবস্থা পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কসহ বৃহত্তর সিলেটের সবকটি সড়ক পথ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-বিয়ানীবাজার সড়ক, নেত্রকোনা-কেন্দুয়া, আটপাড়া সড়ক এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক, নেত্রকোনা, ফেনী, নোয়াখালীর অবস্থা নাজুক। সিলেট, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালীতে দুই দফা বন্যায় ক্ষতি কাটিয়ে না উঠতেই খুলনা থেকে যশোর, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ হয়ে কুষ্টিয়া পর্যন্ত দীর্ঘ পথ খানাখন্দে চলাচলের অনুপযোগী হয়েছে। নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে বিকল্প পথ খুঁজতে দেখা গেছে অনেককে। একই সঙ্গে ঢাকার বনশ্রী হয়ে স্টাফ কোয়ার্টার সংযোগ সড়কে বড় বড় গর্ত দেখা গেছে। অপরদিকে গুলিস্থান থেকে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তা সায়েদাবাদ যাত্রাবাড়ী হয়ে কাজলা পর্যন্ত খানাখন্দের কারণে এপথে যানবাহন চলাচলে বিরম্বনা সৃষ্টি হচ্ছে বছর জুড়ে। সর্বোপরি দেশের সড়ক ও মহাসড়কের অবস্থা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। অপরদিকে দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের দু-একটা সড়ক ছাড়া কোনো সড়কই চলাচলের উপযোগী নেই। এবিষয়ে ভাঙাচোরা এসব সড়ক আরও বেহাল হতে পারে-এমন আশঙ্কা প্রকৌশলীদের।
সওজ সূত্রে জানা গেছে, পুরনো ভাঙ্গাচোরা সড়ক এগুলো নতুন করে তৈরি অথবা মেরামত করতে সদ্য বিদায়ী সরকারের শেষ সময়ে দরপত্র যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়। প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের এই কাজ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে একরকম স্থবির হয়ে পড়েছে সড়ক ও জনপথের (সওজ) ১০টি জোন। বিপুল অঙ্কের এই টাকার সংস্থান থাকলেও কাজ শুরু করতে পারছে না সওজ। কারণ অন্তর্ভুক্ত ১০৫টি প্রকল্পের মধ্যে বেশিরভাগ দরপত্রে ঠিকাদারদের প্রতিযোগিতামূলক অংশগ্রহণ না হওয়ার বিষয়টি সামনে আনা হয়েছে। এ অবস্থায় পুনঃটেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হলে জুনের আগে এই কাজ আর আলোর মুখ দেখবে না। এতে ভাঙাচোরা এসব সড়ক আরও বেহাল হতে পারে-এমন আশঙ্কা প্রকৌশলীদের।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, কাজ বাগিয়ে নেয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা সওজে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়েও দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। কিন্তু সওজের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা বিষয়টি সব সময়ই এড়িয়ে গেছেন। কারণ, কয়েকজন ঠিকাদারের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন দুর্নীতিবাজ কয়েকজন কর্মকর্তা।
সংশ্লিষ্ট নথিপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কালো তালিকাভুক্ত ২৪ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সরাসরি প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় দরপত্র প্রতিযোগিতায় অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। এছাড়া ২১টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যৌথ উদ্যোগের অংশীদার হিসাবে অযোগ্য হয়। এই ৪৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬টি কালো তালিকাভুক্তির সিদ্ধান্তের বিষয়ে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ রয়েছে। ১৫ প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে সওজ আপিল করলে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করা হয়।
সওজের একজন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বলেন, দরপত্র প্রতিযোগিতায় কাজ বাগিয়ে নিতে জাল-জালিয়াতির সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে এখন পর্যন্ত ৪৫ ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় আরও অনেকেই সম্পৃক্ত হবেন। বাস্তবতা হচ্ছে বিকল্প ব্যবস্থা না রেখে সব ঠিকাদারকে শাস্তির আওতায় এনে সওজকে ঠিকাদার শূন্য করার কাজটি অপরিপক্বতা ছিল। দরপত্র প্রতিযোগিতায় যে বিধিবিধান অতীত সরকারের সময়ে করে রাখা হয়েছিল তা ছিল সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ। সিপিটিইউর এই বিধিবিধান সংশোধন না করে সবাইকে শাস্তির আওতায় আনা হয়। এখন সওজের কাজ করবে কে? কালো তালিকাভুক্ত ঠিকাদারদের সিন্ডিকেট ভাঙতে নতুন ঠিকাদাররা সম্পৃক্ত হয়েছেন, অথচ এখন মন্ত্রণালয় বলছে দরপত্র প্রক্রিয়া প্রতিযোগিতামূলক হয়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অভিজ্ঞতার সনদসহ যেসব সনদ ঠিকাদাররা জালিয়াতি করেছেন, তাদের বড় ধরনের আর্থিক দণ্ড দেয়া যেত। আর সন্তুষ্ট না হলে কারাদণ্ড দিয়ে সতর্ক করা যেত। এতে প্রতিষ্ঠানের মালিক শাস্তি পেত আবার নতুন কাজে প্রতিযোগিতামূলক অংশগ্রহণ থাকত। অথবা বিধিবিধান পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়ে নতুন ঠিকাদারদের কাজে সম্পৃক্ত করা যেত। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে-এখন কালো তালিকাভুক্ত ঠিকাদাররাই হয়ে গেছেন গুরুত্বপূর্ণ। অপর আরেক প্রশ্নের জবাবে এই প্রকৌশলী বলেন, যে ঠিকাদারদের কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে তারাই তো নিয়ন্ত্রণ করছে সওজের সব কাজ। কালো তালিকাভুক্ত করার ক্ষেত্রেও বৈষম্য করা হয়েছে। পছন্দের ঠিকাদারদের গুরুদণ্ড দেয়া হয়নি। পক্ষপাতিত্ব করে একজনকে ৬ মাস আরেকজনকে ২ বছরের জন্য দরপত্র প্রক্রিয়ায় অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।
অপরদিকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সাবেক একজন অতিরিক্ত সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সরকারি গুরুত্বপূর্ণ পণ্য ও সেবা ক্রয়ে উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে একই প্রতিষ্ঠান একাধিক কাজ পেলে অনেক সময় দেখা যায় কাজ যথাসময়ে শেষ করতে পারছে না। এ কারণে একই প্রতিষ্ঠানকে একসঙ্গে দুটি কাজের বেশি না দেয়ার বিষয়ে দিকনির্দেশনা ছিল। এমন নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে দেখা যায়, ক্রয় কাজে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে (ওটিএম) সব ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান যদি ১০ ভাগ কম মূল্যে সমদর দাখিল করে তবে ব্যবস্থাটাই এমন যে, একজন দরদাতা প্রতিটি দরপত্রে বিজয়ী হতে পারেন। কারণ অতীত কাজের অভিজ্ঞতাকে এমনভাবে অগ্রাধিকার দিয়ে বিধিবিধান তৈরি রেখেছে সিপিটিইউ।
তিনি বলেন, সওজে সীমিত দরপত্র পদ্ধতি থাকলে কিছু সংখ্যক ঠিকাদারের কাজের সংখ্যা বৃদ্ধির সুযোগ সীমিত হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বলেন, কাজ বাগিয়ে নিতেই ঠিকাদাররা অভিজ্ঞতার জাল সনদ তৈরির প্রবণতা শুরু করেন সওজে। এর সঙ্গে কর্মকর্তারা জড়িত থাকলেও তাদের কাউকেই শাস্তির আওতায় আনা হয়নি। অথচ সড়ক সংস্কারে ভূমিকা রাখা ৪৫ প্রভাবশালী ঠিকাদারকে ঠিকই শাস্তির আওতায় আনা হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, দরপত্র প্রতিযোগিতায় প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে সওজ এ পর্যন্ত যে ৪৫ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, তাদের হাতেই অন্তত ৩২ হাজার কোটি টাকার কাজ। সওজের বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান দায়িত্বে আসার পর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সড়কে অংশগ্রহণকারী সব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞতাসহ ব্যক্তিগত নথিপত্র তদন্তের আওতায় নেন। এ বিষয়ে বুয়েটের বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে গোপনে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। এরপরই ‘কেঁচো খুঁড়তে সাপ’ বেরিয়ে আসে। এভাবেই একে একে ৪৫ ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্তির আওতায় আনা হলে সংকটে পড়ে সড়ক ও মহাসড়ক উন্নয়নে কাজ করা বড় বড় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ৬ মাস থেকে ২ বছর পর্যন্ত কালো তালিকাভুক্ত রেখে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হয়। শাস্তির আওতায় আসা এসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে শুধু সওজেই নয়, নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সব সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানেও অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।
দেখা গেছে, একই অপরাধে অভিযুক্ত করা হলেও শাস্তি দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো কোনো ঠিকাদারের সঙ্গে বৈষম্য করা হয়েছে। এসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন মেয়াদে পিপিআর-২০০৮ এর বিধি ১২৭ অনুযায়ী দরপত্র প্রতিযোগিতায় অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। এ কারণে শাস্তির আওতায় থাকা এই ঠিকাদারগুলো চলমান অর্থবছরে অন্তর্ভুক্ত ১০৫ প্রকল্পে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। এ কারণে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা তুলনামূলক ছোট ছোট ঠিকাদার চলমান এসব প্রকল্পের দরপত্র প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এর মধ্যে কয়েকটি প্রকল্পের দরপত্রে অংশগ্রহণ কিছুটা প্রতিযোগিতামূলক হলেও অনেকের অংশগ্রহণ মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিতে প্রশ্নবিদ্ধ হয়। যে কারণে আর্থিক সংস্থান থাকা সত্ত্বেও ত্রুটিপূর্ণ বিবেচনায় মন্ত্রণালয় বেশ কয়েকটি কাজের ওয়ার্ক অর্ডার দিচ্ছে না। আবার পুনঃদরপত্র আহ্বান করে কাক্সিক্ষত
প্রকল্পে কাজ শুরু করার জন্য যে সময় প্রয়োজন তা হাতে নেই। কারণ এখন পুনঃদরপত্রের এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সময় লাগবে অন্তত ৫ মাস। কিন্তু রাস্তাঘাটের যে অবস্থা তাতে চলাচলের সংকট আরও বাড়বে। নতুন যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এখন দরপত্র প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে তাদের কাজের সেই সক্ষমতা আছে কিনা তাও বিবেচনায় নিতে হচ্ছে মন্ত্রণালয়কে।
উল্লিখিত বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, যেসব দরপত্রে ঠিকাদারদের অংশগ্রহণ প্রতিযোগিতামূলক হয়নি, সেগুলো পুনঃদরপত্র আহ্বান করা হবে। কালো তালিকায় স্থান পাওয়া ঠিকাদার বাদ দিয়ে নতুনদের কাজের আসার জন্য শিগগিরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। এখন কাজ দেয়ার জন্য যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন নাও হতে পারে-এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স